আমাদের সম্পর্কে

card tap

র‍্যাপিড পাস: এক কার্ডে সকল গণপরিবহনের ই-টিকেটিং সুবিধা :

ভূমিকা:

গণপরিবহন পরিচালনায় ভাড়া, মূল্য ও টোল পরিশোধ সংক্রান্ত সেবাসমূহ আরও সহজতর ও দ্রুততর করার জন্য সরকার সমন্বিত ই-টিকেটিং (One Card for All) কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে "র‍্যাপিড পাস কার্ড" প্রবর্তন করেছে।

উদ্দেশ্য:

যাত্রীদের জন্য দ্রুত ও ঝামেলামুক্ত টিকেট সংগ্রহ প্রক্রিয়া তৈরি করা এবং নগদ অর্থের ব্যবহার কমিয়ে আনা।

ভাড়া আদায় প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনয়ন, দুর্নীতি ও অর্থনৈতিক অপচয় রোধ করা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।

একক টিকেটিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বাস, ট্রেন, মেট্রোরেল, ফেরি এবং টোল সড়কের মধ্যে সমন্বয় তৈরি করা।

স্মার্ট টিকেটিং সিস্টেমের সহজ, ঝামেলামুক্ত ও ডিজিটাল পেমেন্ট চালু করা এবং তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভরতা বৃদ্ধি।

আধুনিক ডেটা অ্যানালিটিক্স ও ক্লিয়ারিং হাউজ ব্যবহার করে পরিবহন ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা বৃদ্ধি করা।


র‍্যাপিড পাস কার্ড কী?


র‍্যাপিড পাস: র‍্যাপিড পাস হলো ডিটিসিএ কর্তৃক প্রবর্তিত আইসি (Integrated Circuit) চিপসমৃদ্ধ ইলেক্ট্রনিক স্মার্ট ডিভাইস বা সমজাতীয় ডিজিটাল প্রযুক্তি যাহাতে নির্দিষ্ট পরিমাণ আর্থিক মূল্য (Stored Value) এবং গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্যসহ অন্যান্য তথ্য সঞ্চিত থাকে। বর্তমানে র‍্যাপিড পাস এর মাধ্যমে মেট্রোরেল ও হাতিরঝিল চক্রাকার বাস সার্ভিসে ভাড়া পরিশোধ করা যাচ্ছে। ভবিষ্যতে অন্যান্য সরকারি/বেসরকারি গণপরিবহনে র‍্যাপিড পাস এর মাধ্যমে ভাড়া পরিশোধ করা যাবে।

এই কার্ডে EAL6+ নিরাপত্তা প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক মানের সর্বোচ্চ নির্ভরযোগ্য নিরাপত্তা পর্যায়।


মূল্যঃ


র‍্যাপিড পাস কার্ডের প্রাথমিক মূল্য ৪০০/- টাকা। এর মধ্যে ২০০/- টাকা প্রাথমিক রিচার্জ এবং ২০০/- টাকা কার্ডের জমা মূল্য হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।


লক্ষ্যঃ


একটি মাত্র কার্ডের (One Card for All) মাধ্যমে ভাড়া, মূল্য ও টোল আদায় এবং ক্লিয়ারিং হাউজ ব্যবস্থার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সেবা প্রদানকারী সংস্থাসমূহের মধ্যে স্বয়ংক্রিয় বিতরণ নিশ্চিত করা।

র‍্যাপিড পাস কার্ড বাস্তবায়নে সময়ভিত্তিক পরিকল্পনা :

🔹 স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনা (Short-Term Goals):


১। হাতিরঝিল চক্রাকার বাস সার্ভিস ও ওয়াটার ট্যাক্সিতে র‍্যাপিড পাসের মাধ্যমে ভাড়া প্রদানের ব্যবস্থা।

২। স্পেশাল পারপাস কোম্পানি (SPC) গঠন।

৩। ঢাকা নগর পরিবহন ও অন্যান্য বাস সার্ভিসে র‍্যাপিড পাস চালু।

৪। ঢাকা বিআরটি-তে র‍্যাপিড পাস ইন্টিগ্রেশন।

৫। র‍্যাপিড পাস কার্ডের জন্য অনলাইন টপ-আপ সুবিধা চালু।



🔹 মধ্যমেয়াদী পরিকল্পনা (Mid-Term Goals):


১। মেট্রোরেল লাইন-১ এর সাথে ইন্টিগ্রেশন ও র‍্যাপিড পাস চালু।

২। টোল আদায়ে র‍্যাপিড পাস ব্যবহারের ব্যবস্থা।

৩। নৌ-পথে র‍্যাপিড পাস চালু।

৪। ঢাকা সিটির সকল বাস, সিএনজি ও Ride Sharing সার্ভিস (যেমনঃ উবার, পাঠাও) এ র‍্যাপিড পাস চালু।

৫। আন্তঃজেলা বাস ও রেলপথে র‍্যাপিড পাস ব্যবহারের উদ্যোগ।



🔹 দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা (Long-Term Goals):


১। চট্টগ্রাম মেট্রোরেলে র‍্যাপিড পাস চালু।

২। ই-মানি (E-Money) সুবিধা চালু।

৩। দেশের সকল এলাকার সকল পরিবহনে র‍্যাপিড পাসের ব্যবহার নিশ্চিতকরণ।

৪। ইউটিলিটি বিল ও শপিং সেন্টারে মূল্য পরিশোধে র‍্যাপিড পাস ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি।

security